আসলেই কি ইন্টারনেটে ১০০% হাইড থাকা বা নিরাপদ থাকা কখনো সম্ভব?

আসলে ইন্টারনেটে ১০০% হাইড থাকা বা নিরাপদ থাকা কখনোই সম্ভব না কোন না কোন ক্রটি থেকেই যায়। আমরা অনেকেই এই কথাটার সাথে পরিচিত যে " কোন সিস্টেমই নিরাপদ না "



যার ইংরজি করলে এমন আসে "No system is safe"



এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে এনোনিমাস হতে পারবেন?

আপনার এনোনিমিটি নির্ভর করবে আপনি কি টাইপের হ্যাকার হতে চান এটার উপর।
কেউ যদি এথিক্যাল বা সাদা টুপির হ্যাকার হতে চায় বা হ্যাকিং করতে চায় তাহলে তার এনোনিমিটি সেই রকম একটা দরকার হবে না।

কিন্তু কেউ যদি একজন গ্রে বা ব্লাক হ্যাট হ্যাকার হতে চায় বা তাদের মত কাজ করে তাহলে তার অবশ্যই এনোনিমিটি বজায় রেখে চলতে হবে ।

আগেই আমি বলেছি যে ইন্টারনেটে ১০০% এনোনিমাস থাকা সম্ভব না তবে আপনি মোটামোটি পরিমানে এনোনিমাস হতে পারেন যদি আপনি নিচের কিছু জিনিসগুলো মেনে চলতে পারেন।

১.মেসেজিং এপ গুলোর ভেতর আপনি সিগন্যাল এপটা ব্যবহার করতে পারেন।এইটা অনেকটাই সিকিউরড।

২।সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর কাজে আপনি টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন।কারন টেলিগ্রাম AES ২৫৬ ইনক্রিপশন ব্যবহার করে আপনার ডাটা এনক্রিপ্ট করে রাখে।যেইটাকে আমরা End to end এনক্রিশন নামে জানি।তাই এইটা হ্যাকার দের কাছে অনেকটা প্রিয় হয়ে উঠেছে আজকাল।

৩। এমন ব্রাউজার ব্যবহার করবেন যেইটা আপনার ব্রাউজ এর ফিংগার প্রিন্টার কপি করে রাখে না। যেমন ;i2p browser, । আমি টর ব্যাবহার না করতেই বেশি recommend করব। কারন টর থেকেও মানুষকে ট্যাক করে বের করা যায় এখন।প্রমান চাইলে how tor user get cought defcon 22 লেখে ইউটিউব করলেই পেয়ে যবেন।

৪।সচারচর কোন ওয়েবসাইট এ রেজিস্টেশন করতে হলে টেম্প ইমেই সার্ভিস ব্যবহার করবেন।আর কখনো একই পাস অনেক জায়গায় ব্যবহার করবেন না।আপনার ভিজিট করা সকল ওয়েবসাইট সিকিউর নাও হতে পারে। এবং ব্রাউজ করর সময় জাভাক্রিপ্ট টা অফ রেখেই ব্রাউজ করা ভাল।কারন জাভাক্রিপ্ট দিয়েই সম্পুণ ব্রাউজার নিয়ন্রন করা সাম্ভব।

৫।কখনো ভিপিএন এর উপর ভরসা করে নিজেকে এনোনিমাস মনে করবেন না।কারন আপনি যে কম্পানির ভিপিএন ব্যবহার করছেন। সেই কম্পানি আপনার ডাটা তাদের কাছে জমা করে রেখে দেয়।পরবর্তীতে আপনি কোন ক্রাইম করলে আপনাকে সেই ডাটার মাধম্য খুব সহজেই বের করা সম্ভব।

৬।আর ফোনে ব্যবহার করা বিভিন্ন এপ এর পারমিশন দেওয়া নিয়ে একটু সচেতন থাকবেন।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা নিজের অজান্তেই কোন থার্ড পার্টি এপকে আমাদের স্টোরেজ একসেস, লোকেশন ইত্যাদি পারমিশন এলাউ করে দেই। সেই সকল এপ নিরব ঘাতকের মত আমাদের ফোনে বসে থেকে আমাদের অনেক তথ্য লিক করে দেয়।

৭।জিরো নলেজ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন


এইটা কি রকম একটু উদাহরন দেই।গুগল কিন্তু আপনার সকল পাঠানো এবং আপনার কাছে আসা ইমেইল পড়তে পারে।অফিস ৩৬৫ আপনার লেখা সকল ফাইল সবসময় স্যান করে থাকে। ড্রপবক্স আপনার আপলোড করা সকল ভাইল ওপেন করে এবং চেক করে।

ফলে এই কম্পানিগুলো যদি আপনার উপর।নজর দারি করতে পারে তাহলে এই কম্পানি যে দেশে অবস্থিত সেই সকল দেশ ও কিন্তু আপনার উপর নরজ দারি করতে পারবে।তাই আপনি যদি এই জিনিস গুলোর অল্টারনেটিভ খুজে সেইগুলো ব্যবহার করেন যেমন গুগলের পরিবর্তে প্রটোন মেইল। ড্রপবক্সের জায়গায় anonfiles ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার তথ্য অনেকাংশেই সিকিউর থাকবে।

আপনি যদি আর একটু জোড়ালো ভাবে এনোনিমাস থাকতে চান তাহলে আপনি PGP এর ব্যবহার শিখতে পারেন।PGP মানে হলো Pretty Good Privacy। এইটা এমন একটা এনক্রিশন প্রোগ্রাম যেইটা ডাটা কমিউনিকেশনে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রাইভেসি এবং এথিনটিকেশন ব্যবহার করে থাকে।PGP যেসব কাজে ব্যবহার হয় ত হলো:signing, encrypting,টেক্সট ডিক্রিপ্ট করা, ইমেইল, ফাইলস, ডাইরেক্টরি, এবং ইমেইল এর কমিউনিকেশন আরো সিকিউর করতে।

এইগুলোর মাধ্যমে আপনি মোটামোটি কিছু অংশ হলেও এনোনিমাস বা এনোনিমিটি বজায় রাখতে পারবেন।

লেখাটা একটু বড় হয়ে গেল যদি কোন ভুল বা ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।